ফলোআপ : ফুলবাড়ীয়ায় বারেক ট্রেডার্সের লাইসেন্স ঠিক রাখতে পূজার বরাদ্দে সিন্ডিকেট


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৭, ১২:৩৪ PM
ফলোআপ : ফুলবাড়ীয়ায় বারেক ট্রেডার্সের লাইসেন্স ঠিক রাখতে পূজার বরাদ্দে সিন্ডিকেট

1505927472_16

ফুলবাড়িয়া নিউজ 24ডটকম : ফুলবাড়ীয়া বাজার শাহজালাল রোডস্থ বারেক ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মো: আব্দুল বারেক এর নামে মিলারের অবৈধ লাইসেন্স ঠিক রাখতে পূজার বরাদ্দে সিন্ডিকেট করে সকল ডিও ক্রয় করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ রব্বানীর যোগসাজসে কৌশলে একাজটি শেষ করার পায়তারা চলছে।
জানা যায়, বারেক ট্রেডার্স একজন চাউল ব্যবসায়ী। তাঁর নামে বেনামে রয়েছে মিলার ও ডিলারের লাইসেন্স। বেনামে মিলারের লাইসেন্স থাকলেও তার কোন রাইচ মিল নেই। তিনি গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সমন্বয়ে নয়-ছয় করে লাইসেন্সটি ঠিক রেখে যাচ্ছেন।
দূর্গাপূজায় সরকারী বরাদ্দের সকল ডিও তিনি ক্রয় করেন। বাজার মূল্যের চেয়ে কেজি প্রতি ৩/৪টাকা বেশি দামে চাউল ক্রয় করায় অন্য ব্যবসায়ীদের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। গত বৃহস্পতিবার (২৮সেপ্টেম্বর) অফিস চলাকালীন সময় অতিবাহিত হলেও গোডাউন থেকে চাউল ডেলিভারি হয়নি বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। গোডাউনের ভেতরে মাল মওজুদ রাখার কোন নিয়ম না থাকলেও বারেক ট্রেডার্সের ২৯মে: টন চাউল মওজুদ রেখেছেন। তবে মাল ডেলিভারি দেখাতে যে কোন সময় বস্তা পরিবর্তন করতে মিশনে নামতে পারেন গুদামের কর্মচারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুদামের এক কর্মচারী জানান, মাল মওজুদ ও সরবরাহ এটার ক্ষমতা ওসিএলএজডি এর হাতে উনি যেভাবে কাগজপত্র দেখাবেন ঐটাই ঠিক।
একজন ডিলার জানান, নিম্নমানের চাউল কিনে সরবরাহ করলে পরবর্তীতে চাউলের গুনগত মান ঠিক থাকে না। এতে সরকার ক্ষতিগ্রস্থ হয় ওসিএলএজডি লাভবান হয়। আর ব্যবসায়ীরা দুর্নীতির
লাইন্সেস পায়। ঐ ব্যবসায়ীর মিল কখনই ছিল না, তিনি খোলা বাজার, ভিজিডি, ভিজিএফ’র চাউল কিনে সরবরাহ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ইতিপূর্বেও আব্দুল বারেক তার লাইসেন্স ঠিক রাখতে ভিজিএফ’র চাউল স্থানীয় সোহেল ও রাজ্জাক কে দিয়ে ক্রয় করে সরবরাহের প্রাক্কালে সোহেল কে আর্ম ব্যাটালিয়ান হাতে নাতে ধরে ফেলে। সেই সময়ও অর্থদাতার নাম প্রকাশ ধামাচাপা দিতে আব্দুল বারেক অনেক টাকা পয়সা খরচ করেন।
এ ব্যাপারে বারেক ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মো: আব্দুল বারেক (শনিবার দুপুর ২.৫৮মিনিটে) জানান, ঐদিনই ডেলিভারী নেয়া হয়েছে। আপনি আমার সাথে সাক্ষাত করেন, সাক্ষাতে কথা বলি, বলে ফোন রেখে দেন।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ রব্বানীর বক্তব্য নেয়ার জন্য দুপুর ৩.০৩মিনিটে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

https://www.bkash.com/