কলেজ অধ্যক্ষ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে এমপির স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭, ৫:২১ AM
কলেজ অধ্যক্ষ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে এমপির স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ

Pic- 26.09.17

ফুলবাড়িয়া নিউজ 24ডটকম : মুক্তাগাছা শহরের হাজী কাশেম আলী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে স্থানীয় সংসদ সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তির স্বাক্ষর জাল করে ডিও লেটার কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে জমা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানার পর ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় এমপি। এর আগেও স্বাক্ষর জাল ও ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ফুলবাড়ীয়ায় একাধিক প্রতিস্ঠান গড়ে তোলেছেন।
২০১৩ সালে হাজী কাশেম আলী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান জাকির হোসেন। এরপর থেকেই অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ওই বছরই বাংলা প্রভাষক পদে সেলিম আজিজ এমপিওভুক্ত হন। ২০১৩ সালের মে থেকে এমপিও শিটে সেলিম আজিজের নামে দুটি ইনডেক্স পাওয়া যায়। ইনডেক্স দুটি ১৩২৫০৫৪৬ ও ১৩২৫০৫৫০। একটি ইনডেক্স থেকে সেলিম আজিজ নিজে আর অন্য ইনডেক্স থেকে অধ্যক্ষ জাকির হোসেন বেনামে নভেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত এমপিওভুক্তির অর্থ উত্তোলন করেন। এ ছাড়া এমপিও শিটে এই প্রতিষ্ঠানে শাহিনা আখতার বেগম নামের কোনো শিক্ষক না থাকলেও ওই নামে শিক্ষক দেখিয়ে ভুয়া স্বাক্ষরে ১২ বছর বেতন উত্তোলন করা হয়।
এ ছাড়া হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে স্পেশালাইজেশন খোলার আগেই নিলুফার ওয়াহিদকে ওই পদে এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্টম্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ফৌজিয়া ইয়াসমিনকে প্রভাষক উদ্যোক্তা উম্নয়ন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব কারণে তাদের এমপিওভুক্তিও স্থগিত করা হয়।
এসব অনিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস স্বাক্ষরিত চিঠিতে হাজী কাশেম আলী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সেলিম আজিজ এবং ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ জাকির হোসেনের এমপিও নভেম্বর ২০১৫ থেকে স্থগিত করার নির্দেশ দেয়া হয়। জালিয়াতির কারণে দুই বছর ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে অধ্যক্ষ জাকির হোসেনসহ পাঁচ শিক্ষকের। সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তির স্বাক্ষর জাল করে অধ্যক্ষ জাকির হোসেন বেতন চালু করার জন্য ডিও লেটার জমা দেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে। অথচ ডিও লেটার সম্পর্কে কোনো কিছুই জানেন না সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি।
বাংলা প্রভাষক সেলিম আজিজ বলেন, আমার নামে বিভিম্ন সময়ে দুটি ইনডেক্স নম্বরে টাকা উত্তোলন করা হয়েছিল অধ্যক্ষের নির্দেশে। পরে সেই টাকা অধ্যক্ষ অধিদপ্তরকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন বলেন, আমি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। অনেকেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। যারা এগুলো করছে তাদের কাছে কোনো প্রমাণ নেই।
স্থানীয় সংসদ সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি বলেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ১৯ সেপ্টেম্বরের একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, হাজী কাশেম আলী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ও চার শিক্ষকের স্থগিতকৃত এমপিও চালু করার জন্য ডিও লেটারের মাধ্যমে অনুরোধ করেছি। বাস্তবে আমি ওই কলেজের অধ্যক্ষকে এমন কোনো ডিও লেটার দিইনি। আমার স্বাক্ষর জাল করে এই ডিও লেটার জমা দেওয়া হয়েছে।
সূত্র : দৈনিক সমকাল

https://www.bkash.com/