মো: আব্দুস ছাত্তার : ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ৯নং এনায়েতপুর ইউনিয়নের ভিজিডি’র কর্মসূচির আওতায় মহিলাদের জন্য খাদ্যশস্য বিতরণে ৩০কেজির বদলে ২৬কেজি চাউল বিতরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স হতে জুলাই ও আগস্ট মাসের বিতরণে এ অনিয়ম দেখা যায়। বিতরণকালে টেক অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সচিবসহ দায়িত্বশীল কেউই উপস্থিত ছিলেন না।
অভিযোগের সততা যাচাইয়ের জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৩টি বস্তার ওজন পরিমাপ করা হয়। তাতে ২৬,২৭,২৭.৫ কেজি পাওয়া যায়। বিষয়টি স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইউএনও জানালে তাৎক্ষনিক বিতরণ বন্ধ করে দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য জানান, চেয়ারম্যানের পছন্দের মেম্বারদের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ (খাদ্য) যোগসাজসে প্রতি প্যাকেট চাউলে পরিকল্পিতভাবে ৩/৪কেজি করে চাউল কম দেয়া হয়েছে। চাউল নিতে আসা রহিমা খাতুন জানান, কম দিলেও সবাই নিতাছে (নিচ্ছে) আমিও নিবো। হুনছি (শুনেছি) পরের মাসে ২কেজি করে বাড়াইয়া (বেশি) দিবো।
কার্ডধারী মর্জিনা বেগম জানান, যারা দিতাছে হেরা (বিতরণকারীরা) কয় এহন না নিলে ঈদের আগে আর চাউল পাওয়া যাবে না। আমরা গরিব মানুষ চাউল না পাইলে এতো দাম দিয়া কিনতে পারতাম না।
চাউল কিনতে আসা একজন জানান, ৩০কেজি মনে কইরা ১৬শ টাকা ধরে ২বস্তা কিনলাম, এহন দেহি লোকসান।
টেক অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিতরণ বিষয়ে জানেন না বলে জানান।
ইউপি সচিবের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এক ইউপি সদস্য জানান, চেয়ারম্যান কবির হোসেন তালুকদার হজ্বে যাবেন, তাই আজকে সবাই চেয়ারম্যানের বাড়ীতে সচিবসহ সবাই দাওয়াত খাবেন।
মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেহেনা আক্তার খাতুন জানান, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো, যারাই এ কারচুপির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান, মহিলারা অনেক দূর থেকে এসেছে, এ জন্য তাদের কম প্যাকেটাই দেয়া হচ্ছে পরের মাসে অবশ্যই আমরা প্রত্যেক কার্ডধারীকে ২কেজি করে বেশি চাউল প্রদান করবো।
খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ (খাদ্য) আরিফ রব্বানী বস্তায় কম দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার লীরা তরফদার জানান, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :