পুটিজানা লক্ষীপুরে পোল্ট্রি ফার্মের বজ্রে গৃহবন্ধি এক পরিবার


প্রকাশের সময় : মে ২৫, ২০১৭, ৪:১৭ AM
পুটিজানা লক্ষীপুরে পোল্ট্রি ফার্মের বজ্রে গৃহবন্ধি এক পরিবার

9000500

ফুলবাড়িয়া নিউজ 24ডটকম: ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের লক্ষীপুর বাজার সংলগ্ন মৃত ইদ্রিস আলীর পুত্র আনোয়ার হোসেন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে পোল্ট্রি ফার্ম করায় আশপাশের পরিবেশ নষ্ট হয়ে জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, আনোয়ার হোসেনের বাড়ী মুলত ৩নং কুশমাইল ইউনিয়নের বরুকা গ্রামে। কিছুদিন কোম্পানীতে চাকুরী করে অধিক মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে কৌশলে পরিবেশ বিনষ্ট করে নিজে বনে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। একটি পোল্ট্রি ফার্ম করতে গেলে ফার্মের বজ্রে যাতে পরিবেশ নষ্ট না হয়ে তার জন্য বায়েগ্যাস প্ল্যান স্থাপন করতে হয়। এছাড়াও সরকারী কিছু নিয়ম-নীতি মেনে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতিপত্র এবং ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স নিতে হয়। কিন্তু আনোয়ার কোনটিই করেনি। কারণ এগুলো করতে গেলে খরচের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে সে কৌশলে বিভিন্ন জায়গায় জমি ভাড়া নিয়ে পরিবেশ বিনষ্ট করে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে নিজ গ্রামে এরকম প্রজেক্ট স্থাপন করলে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে। পরবর্তীতে কৌশল পরিবর্তন করে সে সেখানে (বরুকা গ্রামে) বাচ্চা মুরগী লালন-পালন করে, বড় মুরগী পুটিজানার লক্ষীপুরে নিয়ে আসে। এখানে সে বায়োগ্যাস প্ল্যান ছাড়াই রমজান আলী পুত্র মধু মিয়ার কাছ থেকে ৩শতাংশ জমি ভাড়া নিয়ে সেড তৈরি করে মুরগী লালন-পালন শুরু করে। ফলে প্রজক্টে থেকে ১০হাত দূরের পরিবারটি খোলা জায়গার দূর্গন্ধে জিন্মি হয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে ঐ বাড়ীর শিশু শিশু বাচ্চাসহ বড়রা অসুস্থ্য হয়ে চিকিৎসাধীন। প্রতিবাদ করতে গেলে তাদেরকে গৃহহীন ও প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে আনোয়ার। সাংবাদিককে খবর দেয়ার জেরে ঐ বাড়ীর ফিরোজা বেগমকে মারতে ঐধত্য হয়। সহজ-সরল অসহায় পরিবারটি এ থেকে মুক্তি চেয়ে ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। বর্তমানে এখানে তাদের বাস করাই দায় হয়ে পড়েছে বলে জানান পরিবার কর্তা নুরুল ইসলাম। সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অসহায় পরিবার।

https://www.bkash.com/