গৌরীপুর শ্যামগঞ্জে শিশু নির্যাতনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নারী উন্নয়ন ফোরাম


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৪, ২০১৭, ১০:৪৩ AM
গৌরীপুর শ্যামগঞ্জে শিশু নির্যাতনের ঘটনাস্থল  পরিদর্শন করেন নারী উন্নয়ন ফোরাম

child-samgang-10মশিউর রহমান কাউসার, গৌরীপুর : বিয়ের প্রলোভনে লম্পট যুবক কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হওয়া ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী শিশু সোমা আক্তার (১৩) তার নবজাতক কন্যা সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তায় ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ফয়সাল (২৮) স্থানীয় লোকজনের চাপে সোমাকে বিয়ে করলেও কয়েকদিন পরেই তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ রেলস্টেশন সংলগ্ন মইলাকান্দা এলাকায়। এ ঘটনায় বিভিন্ন অনলাইন ও জাতীয় সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়েছে উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের নেতৃবৃন্দের নিকট। রবিবার (২২ জানুয়ারী) উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের নেতৃবৃন্দ উল্লেখিত ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে স্থানীয় লোকজন তাদের নিকট এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। নারী উন্নয়ন ফোরামের সভানেত্রী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া ইসলাম ডলি বলেন নির্যাতিত শিশুকন্যা সোমা সহ তার পরিবার ও ঘটনায় জড়িত যুবক ফয়সাল বর্তমানে পলাতক রয়েছে। পরিদর্শনকালে সঙ্গে ছিলেন উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সদস্য পৌর কাউন্সিলর শিউল চৌধুরী, দিলুয়ারা আক্তার, মহিলা মেম্বার আয়েশা খাতুন, সাংবাদিক হুমায়ূন কবির, আব্দুল্লাহ আল আমিন প্রমুখ। জানা গেছে উল্লেখিত এলাকার ঝালমুড়ি বিক্রেতা নাজিম উদ্দিন পূর্বধলার ঝারিয়া তার শ্বশুর বাড়ী এলাকা থেকে প্রায় ৭/৮ বছর পূর্বে সোমাকে শিশু অবস্থায় পালক এনে লেখাপড়ার জন্য স্কুলে ভর্তি করে দেয়। পরে শ্যামগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণীতে পড়ুয়া অবস্থায় সোমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে প্রতিবেশী বাবুল মিয়ার লম্পট ছেলে গৃহশিক্ষক শেখ ফরিদ ফয়সাল। এরপর বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করা হয়। এক পর্যায়ে শিশুটি ৫ মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পড়লে তার পালিত পিতা-মাতা সহ এলাকাবাসীর মাঝে এই ঘটনাটি জানাজানি হলে ফয়সাল এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয়। এদিকে গত বছর জুন মাসে অন্তঃসত্তা সোমার কন্যা সন্তান প্রসব করে। সম্প্রতি ফয়সাল বাড়ীতে ফিরে আসলে স্থানীয় গন্যমান্য লোকজনের চাপে সোমাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। বিয়ের পর কয়েকদিন বাড়ীতে রাখার পর তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অমানুষিক নির্যাতন করে পালিত পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ফয়সালের পরিবার সোমার পালিত পিতা-মাতাকে ৭০ হাজার টাকা প্রদান করে। সোমার পালিত মাতা সুলতানা জানান, তার মেয়ের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় এলাকার মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিচার না পেয়ে নিরুপায় হয়ে ফয়সালের পরিবারের কাছ থেকে ৬৫ হাজার টাকা গ্রহন করে নিরব থাকে। এদিকে ভোক্তভোগী শিশু সোমা বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ঘটনায় বিচার দাবি করেছে।

https://www.bkash.com/