সফল ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান কেয়া রহমান


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬, ১:০৯ PM
সফল ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান কেয়া রহমান

keya-7ইন্টারনেট : হতে পারে হ্যাঁ, আবার হতে পারে না – চরিত্রানুসন্ধানের প্রক্রিয়ায় শিল্পীর চেতনার গভীরে যে নীরব ফলগু ধারা প্রবাহিত হয়, তাতে অবগাহন করেই আসতে হয় নতুন সমীকরণে। মনের এই গভীর দ্বন্দ্বে যিনি ইতিবাচক হয়ে উঠতে পারেন তার হাতেই অবলিলায় ধরা দেয় সাফল্য। ক্যারিয়ারের এমন সাফল্যের জন্যই অপেক্ষমান রয়েছেন টিভি অভিনেত্রী কেয়া রহমান। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ক্যারিয়ারকে সফল করে তুলতে চাই এবং সে লক্ষ্যে আমার শ্রম মিডিয়া জগতে বিনা দ্বিধায় বিনিয়োগ করে যাচ্ছি।’

সাংস্কৃতিক আবহের মেয়ে কেয়া রহমান। তার মা সালেহা বেগম আর দশজনের মতো এখন একজন গৃহিনী হলেও এক সময় তিনি পেশাজীবি ছিলেন। পাশাপাশি আত্মজগতে ছিলেন গানের প্রতি একনিষ্ঠ। পরিচিত গ-ীর মধ্যে গায়িকা হিসেবে তার একটা পরিচিতিও ছিল। তার মামা জর্জ আহমেদও একজন শখের গায়ক। তার বিচরণ ক্ষেত্র সীমিত গ-ীতে সীমাবদ্ধ। কিন্তু কেয়া তাদের গ-ী অতিক্রম করে ড্রয়িং রুম তারকা হিসেবে নিজেকে তিল তিল করে গড়ে তুলছেন।

তিনি তিল থেকে হয়ে উঠতে চান তিলোত্তমা। হানিফ সংকেতের ইত্যাদি দিয়ে মিডিয়া জগতে তার আগমন। তারপর হানিফ সংকেতের আরেকটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান পাঁচ ফোড়নেও তাকে দেখা যায়। কেয়াকে নিয়ে হানিফ সংকেত সময় অসময় নামে একটি নাকটও নির্মাণ করেন। কেয়া জানান, তার মধ্যে অভিনয়ের ছিল দীর্ঘ প্রস্তুতি। তিনি বরিশাল শব্দাবলী থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ছয় বছর। বর্তমানে মীর সাব্বিরের বিপরীতে অভিনয় করা বউ বকা দেয় নামে একটি ধারাবাহিক প্রচারিত হচ্ছে ইটিভিতে।

মারুফ মিঠু পরিচালিত এ ধারাবাহিকটিও তাকে নিয়ে আসতে পারে পাদপ্রদীপের আলোয়। এ পর্যন্ত তিনি পাঁচটি ধারাবাহিক ও আটটি এক ঘন্টার নাটকে অভিনয় করেছেন বলে জানান। কেয়া রহমানের প্রথম ধারাবাহিক নাটক হলো কলিং বেল। তিনি ইমরাউল রাফাতের মি. ৪২০ নামে সাত পর্বের একটি নাটকেও অভিনয় করেছেন।

তার অন্যান্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ভালবাসার ভূতও ভবিষ্যত (ইমরাউল রাফাত), নীড় খোঁজে গাংচিল (মোহন খান), শোভাগঞ্জ (জুয়েল শরীফ), দিনে শাকিব রাতে রুপালি (মারুফ মিঠু) ও বাবলু ভাইয়া (মারুফ মিঠু)। বাবলু ভাইয়া নাটকে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন নাট্যকার ও নাট্যনির্দেশক সালাউদ্দিন লাভলু। এছাড়া দিনে শাকিব রাতে রুপালি হলো টেলিফিল্ম। তিনি জানান, এসব নাটকগুলোতে কাজ করে তিনি সন্তুষ্ট। কেয়া উল্লেখ করেন, কিছু টিভিসিতেও কাজ করার কথাবার্তা চলছে তার। চুড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনোটির নাম বলতে চাইলেন না।

বরিশাল রহমতপুরের মেয়ে কেয়া রহমানের পিতা হাবিবুর রহমান সৌদি প্রবাসী। তিনি এখনও ছাত্র জীবন শেষ করেননি। বিউবিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিংয়ে বিবিএ করেছেন। এমবিএ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি জানান, ক্যারিয়ার গড়ার পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, ‘আমি একটা সফল ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চাই।’

https://www.bkash.com/