যুক্তরাষ্ট্রে গৃহকর্মী নির্যাতন, স্ত্রীসহ বাংলাদেশি কূটনীতিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা


প্রকাশের সময় : মে ১৫, ২০১৬, ২:০২ PM
যুক্তরাষ্ট্রে গৃহকর্মী নির্যাতন, স্ত্রীসহ বাংলাদেশি কূটনীতিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

ywyww-2ফুলবাড়য়িা নিউজ 24 ডটকম : গৃহকর্মীকে নির্যাতনের দায়ে ইথিওপিয়ায় বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফাহিমা প্রভার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। ম্যানহাটানের একটি ফেডারেল কোর্ট বৃহস্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে আটকাদেশ দেন।

মাসুদ পারভেজ রানা নামের এক বাংলাদেশি গৃহকর্মীর করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আদালতের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতকে অগ্রাহ্য করে আসছিলেন এই দম্পতি। খবর রয়র্টার্সের।

মামলার বাদি রানার অভিযোগ, তাকে বিনা বেতনে ক্রীতদাসের মতো কাজ করানো হত। জেলা জজ সিডনি স্টেইন বলেছেন, মনিরুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী ফাহিমা প্রভা এক বছর ধরে হাজিরা দিতে অস্বীকৃতিসহ নানাভাবে আইনের বরখেলাপ করে আসছিলেন। বিচারক বলেন, আসামীদের জন্য আদালত ১৫ মাস অপেক্ষা করেছে এবং তাদের বহু সুযোগ দেয়া হয়েছে। একই বিচারক জরিমানা নির্ধারণে আরেকটি শুনানি করতে পারেন।

আসামিদের অবস্থান জানতে না পারার কারণে তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। আসামিরা তাদের আইনজীবী বদল করবেন কিনা তাও জানা যায়নি। কেননা তাদের উকিল গত মার্চে এই মামলা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বাংলাদেশি নাগরিক রানাকে এই দম্পতি নিউইয়র্কে মাসে ৩ হাজার ডলারে নিযুক্ত করেছিলেন এবং তার ভিসা নবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

মামলার আবেদনে রানা বলেন, এক দেড় বছরে তাকে একটি টাকাও দেয়া হয়নি। তদুপরি তাকে দিয়ে প্রতিদিন ১৬/২০ ঘণ্টা কাজ করানো হত। তাকে বাসায় আটকে রাখা হত এবং হত্যারও হুমকি দেয়া হয়েছিল।

মনিরুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কনসাল জেনারেল ছিলেন। পরে তাকে মরক্কোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত করা হয়। চলতি বছর তাকে ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

রানার আইনজীবী এমিলি বলেছেন, তিনি তার মক্কেলের আর্থিক ক্ষতি ও মানসিক যাতনার ক্ষতিপূরণ চাইবেন। আসামিদের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি তো করবেনই।

রানার আইনজীবী আরও বলেন, সুখের কথা হল ওই দম্পতিকে তাদের হীন কাজের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। নিউইয়র্কের কনসুলেট জেনারেল এই মামলার কোন অংশ না হলেও তার কোন মন্তব্য পাাওয়া যায়নি । নিউইয়র্কের ডিষ্ট্রিক্ট কোর্টের এই মামলার নম্বর ১৪-০১৯৯৩।

https://www.bkash.com/