গৌরীপুরে কলতাপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য্যরে পাশে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন মজিবুর রহমান এমপি


প্রকাশের সময় : মে ৪, ২০১৬, ৬:১৬ AM
গৌরীপুরে কলতাপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য্যরে পাশে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন মজিবুর রহমান এমপি

samahito-03.05

মশিউর রহমান কাউসার, গৌরীপুর থেকে :
ময়মনসিংহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ডাঃ ক্যাপ্টেন (অবঃ) মজিবুর রহমান ফকিরকে মঙ্গলবার (৩মে) বেলা ১২টায় গৌরীপুর উপজেলার কলতাপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সর্বোচ্চ ভাস্কর্য্যরে পাশে নির্ধারিত স্থানে চির নিদ্রায় শায়িত হয়েছে। এর আগে সকাল ১০টায় গৌরীপুর খেলার মাঠে মরহুমের ৩য় জানাযার নামাজ শেষে গার্ড অব অর্নার প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্জিনা আক্তার। পরে বেলা ১১টায় কলতাপাড়া মরহুমের পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত মোজাফফর আলী ফকির উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ৪র্থ জানাযা নামাজ শেষে পূর্ব থেকেই নির্ধারিত স্থানে তাকে সমাহিত করা হয়েছে। মরহুমের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে তার মৃত্যুর পূর্বে তিনি সমাধির স্থান ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে নির্ধারিত করে নিজ হাতে দৃষ্টিনন্দন রুপে সাজিয়ে রেখেছিলেন। সরজমিনে দেখা গেছে মরহুম মজিবুর রহমানের সমাধির স্থানটি কালার টিন দিয়ে চৌ চালা ছানি দেয়া। ছানির উপরে রয়েছে কবুতরের বাসা এবং চারপাশে শ্বেতপাথরে কারুকার্য মন্ডিত পবিত্র কাবা শরিফ ও মদীনা শরিফের ছবি। দক্ষিনপাশে খেজুর গাছ যা তিনি নিজ হাতে রোপন করেছিলেন তাতে ফল ধরেছে। মরহুমের সমাধির পাশে তিনি স্থাপন করে গেছেন ৫১ ফুট উচ্চতার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য্য। তার পাশে স্থাপন করেন উন্নয়নের মাতা শেখ হাসিনা ফটো গ্যালারী। পাশেই নির্মিত হচ্ছে মা ও শ্বাশুরী বৃদ্ধাশ্রম যার ৭০ ভাগ কাজ তিনি শেষ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের প্রায় ১ হাজার গজ দুরত্বে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নিজ পিতার নামে মোজাফফর আলী ফকির স্কুল ও কলেজ। এছাড়া মরহুম মজিবুর রহমান ফকির গৌরীপুর পৌর শহরে স্থাপন করেছেন বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় ৪ নেতার দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য্য। আজ মজিবুর রহমান ফকির নেই উনার ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্মিত স্থাপনাগুলো দেখার জন্য দেশী বিদেশী পর্যটকরা আসবে এবং তার কথা স্মরন করবে এটাই গৌরীপুর বাসীর প্রত্যাশা।
উল্লেখ্য মজিবুর রহমান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (মে) সকাল ৯টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরন করেন। পরে ওই দিন বাদ যোহর ময়মনসিংহ শহরে আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে ১ম জানাযা শেষে বিকেল ৪টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিন প্লাজায় মরহুমের ২য় জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরহুমের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে জাতীয় সংসদের ১০ম অধিবেশনে শোক প্রস্তাব গৃহিত হয় এবং অধিবেশন মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মূলতবি ঘোষনা করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

752

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় গৌরীপুর খেলার মাঠে জানাযার নামাজে কয়েক হাজার মানুষ অংশ গ্রহন করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন,মরহুমের বড় জামাতা মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বিধূ ভুষন দাস, ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আরিফ আহাম্মেদ, গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহাম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্জিনা আক্তার, পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম,সহকারী পুলিশ সুপার আক্তারুজ্জামান, ছোট ভাই শাহ সাইফুল আলম পান্নু, কেন্দ্রিয় আওয়ামীলীগের উপকমিটির সহ সম্পাদক মুর্শেদুজ্জামান সেলিম, ফাউজুল হক শিখর, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল হক, রাবেয়া ইসলাম ডলি, সামিউল আলম লিটন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রিয় নেতা ফেরদৌস আলম, অ্যাভোকেট মোজাম্মেল হক, শরীফ হাসান অনু,উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ হেলাল উদ্দিন, রহুল আমিন, ম. নুরুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল মুন্নাফ, উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা শামছুজ্জামান জামাল, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আহাম্মেদ খান সেলভী, মরহুমের ভাতিজা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শাহ রফিকুল ইসলাম দীপু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আব্দুর রহিম ও ডেপুটি কমান্ডার নাজিম উদ্দিন, গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন জুয়েল ও সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান কাউসার সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। জানাযার নামাজ শেষে মরহুমের কফিনে শত শত মানুষ শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

https://www.bkash.com/